স্টাফ রিপোর্টার::
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা, মারপিট ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আরো দেড় শ’ জনকে আসামী করা হয়।
গতকাল ২১ আগষ্ট (২০২৪) বিশ্বনাথ থানায় মামলার এজাহার দায়ের করেন বিশ্বনাথ থানাধীন জানাইয়া এলাকার বাসিন্দা রহমত আলীর পুত্র আমজদ আলী।
মামলার আসামীরা হলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী (৬৫), বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. নুনু মিয়া (৬০), বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট (৪৮), বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ (৪৫), বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ সারতী দাশ পাপ্পু (২৮), বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ উসামা আহমদ (২৩), জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুহেল আহমদ (৩২), অলংকারী গ্রামের মজম্মিল আলীর পুত্র কামরুল (২২), আমিনুল (২৫), রায়হান (২৮)
প্রমুখ। এছাড়াও মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারে আমজদ আলী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট (২০২৪) দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফায় ছাত্রদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ হইতে মিছিল নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা গোল চত্বরে আসলে উৎ পেতে থাকা উল্লেখিত আসামীরা মিছিলে হামলা চালায়। এসময় তারা আগ্নেয়াস্ত্র, দা, রড, হকিস্টিক, চাপাতি লোহার পাইপ ও লাটিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। এছাড়াও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে থাকা ছাত্রদের বেধরক মারপিট করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে যুক্ত হওয়া ছাত্ররা প্রাণ বাঁচাতে দিক-বেদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। এসময় ১৩ নং আসামি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। এসময় মামলার বাদি আমজদ আলীর নাকে ও বাম পায়ের হাটুতে গুলি লেগে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা মিলে তাকে সিলেট নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও মারপিটের শিকার হন। পরবর্তীতে বাদী বিগত ৬ আগষ্ট হইতে ২০ আগষ্ট পর্যন্ত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন” মামলাটি এফআইআর করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকীটা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।