নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট এমসি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সিলেটের জৈন্তাপুর থানায় করা ওই মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদি ঐ ছাত্রীর বড় ভাই মাহবুবুর রহমান।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর বলেন, আজ সকালে (১২ সেপ্টেম্বর) তিনজনকে আসামি করে মেয়েটির বড় ভাই মাহবুবুর রহমান ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেছেন। মেয়েটির লাশ এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন শাহপরান থানার টিলাগড় রাজপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফাহাদ আহমদ,শাহপরান থানার লাকড়িপাড়া এলাকার মৃত আসাদুর রহমান খানের ছেলে আশিক উদ্দিন, ও শাহপরান থানাধীন মেজরটিলা মোহাম্মদপুর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে আমাদের কাছে খবর আসে জৈন্তাপুর বাজারের পাশে একজন তরুণীর লাশ পড়ে আছে। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছি এবং তরুণীকে মৃত উদ্ধার করি। তখন দেখা যায়, তার কাপড়চোপড়ে রক্তমাখা। লাশের আলামত দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে আমরা লাশ উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করি এবং সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।
জানা যায়, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার মেয়েটি সিলেট এমসি কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত। প্রেমঘটিত কোন কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে।
কলেজ পড়ুয়া ঐ তরুণী মামলার ২ নং আসামী আশিক উদ্দিনের সৎ ভাই ওলিউর রহমানের শ্যালিকা বলে জানা গেছে।