নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের ওসমানীনগরে ডাকাতির ঘটনায় মামলা রেকর্ড হলেও টাকা উদ্ধার বা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কোন আসামীককে গ্রেফতার করতে পারেনি ওসমানীনগর থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন মামলার বাদী। মধ্যে রাতে হঠাৎ অর্থ্যাৎ ১লা ডিসেম্বর ভোর আনুমানিক ২.০০ ঘটিকার সময় ওসমানীনগর থানাধীন বাড়েরা গ্রামের রইছ মিয়ার পুত্র ফটিক মিয়ার বাড়ীতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ফটিকমিয়া ডাকাত বলে চিৎকার করলেও ডাকাতের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে ডাকাত দল সাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ফটিক মিয়ার বুকে বন্দুক তাক করে জমি বিক্রির ৮ লক্ষ টাকা কোথায় জানতে চায়, জবাবে মামলার বাদী ফটিক মিয়া ডাকাতদের জানায় টাকা খরচ হয়েছে। এই ফাঁকে ডাকাতরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেঁধে ফেলে জিম্মি করে রাখে। এদিকে ডাকাতরা স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে সেখানে রক্ষিত জমি বিক্রির নগদ ৮,০০,০০০/ (আট লক্ষ) টাকা মাত্র নিয়ে চলে যায়। পরে বাড়ীর উঠান থেকে একজন ডাকাত বাঁশি বাজালে সকল ডাকাত দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে গাড়ীতে করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এব্যপারে গত ১ লা ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন বাড়েরা গ্রামের রইছ মিয়া পুত্র ফটিক মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে থানা ২ ডিসেম্বর মামলাটি ৩৯৪/৩৯৭ ধারায় রেকর্ড করেন, মামলা নং ৫/৮৮।
মামলায় উল্লেখিত আসামীদের মধ্যে লন্ডন প্রবাসী (১)হালিমা বেগম(৪৪),পিতা- আফছর মিয়া, সাং-বাড়েরা, (২)হাবিবা আক্তার মনি(২৩), পিতা- ফটিক মিয়া,সাং- ভাড়েরা,(৩) রফিকুল ইসলাম মামুন(২১), পিতা- ফটিক মিয়া,সাং- বাড়েরা,(৪) মাহিরুল ইসলাম (১৯), পিতা- ফটিক মিয়া,সাং- বাড়েরা, সর্বথানা- ওসমানীনগর, জেলা- সিলেটকে আসামী করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন।