নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘটনার প্রায় ১ মাস পর ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতা এক কলেজ ছাত্রীর বাবা। গতকাল এ অভিযোগ দায়েরের পর আসামীরা বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গতকাল বিয়ানীবাজার থানায় উপস্থিত হয়ে পৌরসভার খাসা গ্রামের একেএম শাহীন তাপাদার তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছেলে তাহমিদ হোসেন ও তার বন্ধু শাকিল আহমদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন যে,গত ১৮ জুলাই তার মেয়ে রাজুনা বেগম তাপাদার কলেজে যাচ্ছিল। এসময় প্রভাবশালী বিএনপি নেতার ছেলে তাহমিদ ও তার বন্ধু শাকিল জোরপূর্বকভাবে রাজুনাকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে৷ রাজুনা বাড়িতে ফেরার পর বাবা-মায়ের কাছে ঘটনাটি বিস্তারিত জানায়। তখন থেকেই মামলার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন শাহীন তাপাদার। কিন্তু,তাহমিদ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে অভিযোগ দায়ের থেকে তিনি দীর্ঘদিন বিরত ছিলেন।
সেসময় ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারস্ত হতে বিলম্ব হয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী শাহীন তাপাদার।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে,থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষিতা ছাত্রীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাহমিদ,শাকিল ও তাদের সহযোগিরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ একেএম শাহীন তাপাদারের। তিনি জানান, হামলাকারীরা বাসায় ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে এবং বাসায় থাকা নারীদেরকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার থানার নব নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ধর্ষণের একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে,মামলাকারীর বাসায় হামলার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানতে যোগাযোগ করা হয় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন,’ধর্ষণের এই ঘটনাটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কলেজ প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও বিচার প্রত্যাশা করে।’