কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর রাজাগঞ্জ ইউপির পারকুলের গ্রামের বাড়িতে হামলা- ভাংচুর ও তার পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজাগঞ্জ বাজারে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল আছরের পর উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরও হামলা চালায় জামায়াত বিএনপির লোকজন। এ সময় অনেকগুলো দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাষ্টার ফ্যাশনে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে দোকানের প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এরপর একদল সংঘবদ্ধ লোক মিছিল নিয়ে সন্ধ্যায় মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর বাড়িতে যায় এবং সেখানে মব সন্ত্রাস করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর বাড়িতেও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তারা হামলা করে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এসময় আগুন লাগার খবর পেয়ে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন এবং আগুন দিতে বাধা প্রদান করেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হয়।
এসময় সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হন মাহমুদুল হাসানের মা মমতাজ বেগম (৬০ ), স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (২১), ভাইয়ের স্ত্রী শিউলি (২৬) ।
এছাড়া পারকুল গ্রামের নারী-পুরুষ সন্ত্রাসীদের হামলা-ভাংচুরে বাধা প্রদান করলে গ্রামের মুরুব্বী শামসুল হক (৭০), রমা চন্দ্র নাথ (৪৬) আহতও হন।
পরে গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা করান। অনেকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের লোকজন জানান, ইতোপূর্বে গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর আমাদের গ্রামে এরকম ঘটনা ঘটেনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হায়েনারা আমাদের গ্রামে হিন্দুদের বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
পারকুল গ্রামের আলতাফ হোসেন জানান, মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ছাত্রলীগের নেতা ছিলো,এলাকায় কারো সাথে কোনদিন মারামারি করেনি, কিন্তু আজ তার বাড়িতে-বাজারের দোকানে হামলা করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
গ্রামের মুরুব্বি মিসবাউর রহমান বলেন, দেশকে অরাজকতার মধ্যে ঠেলে দিতে, দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চাইছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
